আজ ২০ নভেম্বর ২০২০ ইংরেজী দিশারী যুব ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এর উপদেষ্টা ও আইন-আদালত প্রতিদিনের প্রধান উপদেষ্টার প্রফেসর অ্যাডভোকেট কামরুন নাহার বেগম এর শুভ জন্মদিন। শুভ জন্মদিন উপলক্ষে দিশারী যুব ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানান দিশারী যুব ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান লায়ন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন লাভলু, সাধারণ সম্পাদক এস এম মাসুদ রানা, সহ-সভাপতি প্রভাষক মোহাম্মদ নাজিমউজ্জামান রাশেদ, মোহাম্মদ নূর খান, এপেক্সিয়ান আশরাফুল আলম ভূঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক এমিলি আরাফাত, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ জিয়াউল হক আরিফ,
সহ অর্থ সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বাবলু, সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ জাবেদ হোসেন, দপ্তর সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম, শিশু ও মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নার্গিস আক্তার নুসরাত, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক প্রভাষক তাসলিমা আক্তার রীমু, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আফসানা ইয়াসমিন সায়েমা, বিভিন্ন শাখা পরিচালক যথাক্রমে এডভোকেট মোঃ আবু সালেহ, এডভোকেট মোঃ শামসুদ্দিন শামস, অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান পলাশ, মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নাহিদ, সাংবাদিক মোঃ হুমায়ুন কবির, দীপায়ন চাকমা, মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন চৌধুরী, মোহাম্মদ আশিক, মোহাম্মদ ইমন, মোহাম্মদ সরোয়ার উদ্দিন নিরব সহ সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতা কর্মী শুভেচ্ছা জানান।
দিশারী যুব ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এর সম্মানিত উপদেষ্টা প্রফেসর অ্যাডভোকেট কামরুন নাহার বেগম এর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি চট্টগ্রাম জজ আদালত এবং বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট হাইকোর্ট ডিভিশন এর বিশিষ্ট আইনজীবী -১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক প্রফেসর এ্যাডভােকেট কামরুন নাহার বেগম এর জন্ম স্থান চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া থানার অন্তর্গত খানমােহনা গ্রামের সম্রান্ত পরিবারের মেয়ে । পিতার নাম মােহাম্মদ আবদুল মালেক এবং মাতার নাম রাবেয়া খানম , পিতা আবদুল মালেক ছিলেন পােট ট্রাস্টের একজন উর্ধতন কর্মকর্তা । প্রাথমিক শিক্ষা ও মাধ্যমিক শিক্ষা সমাপ্ত করেন পটিয়ার গ্রামে বাড়ীতে । তিনি উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন – চট্টগ্রাম সরকারী হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ থেকে , স্নাতক ডিগ্রি করেন ঐতিহ্যবাহী রাঙ্গুনিয়া ডিগ্রি কলেজ হতে । ১৯৮০ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হতে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এম , এ ডিগ্রি লাভ করেন । ১৯৮১ সনে চট্টগ্রাম বি , এড কলেজ হতে প্রথম শ্রেনীতে বি , এড ডিগ্রি লাভ করেন এবং ১৯৮৭ সনে চট্টগ্রাম আইন কলেজ থেকে কৃতিত্বের সাথে এল , এল , বি , ডিগ্রি লাভ করেন । প্রফেসর এ্যাডভােকেট কামরুন নাহার বেগমের কর্মজীবন শুরু হয় চট্টগ্রাম এর রাঙ্গুনিয়ার অন্তর্গত দক্ষিন রাঙ্গুনিয়া পদুয়া ডিগ্রি কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান – এর অধ্যাপক হিসেবে । এরপর তিনি ১৯৮৮ সালে আইন পেশায় যােগদান করে অদ্যাবধি আইন পেশায় নিয়ােজিত আছেন । তার সুদীর্ঘ কর্মময় জীবনে তিনি বিভিন্ন সামাজিক , সাংস্কৃতিক , রাজনৈতিক , নারী উন্নয়ন ও মানবধিকার মূলক বিভিন্ন কর্মকান্ডে , প্রত্যক্ষভাবে জড়িত রয়েছে । তিনি ২০০৯ সনে ডিভিশনাল স্পেশাল পি , পি হিসেবে নিয়ােগ লাভ করেন । বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম জজ আদালতে- Judge’s Court- এ Additional Public Prosecutor হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন । তিনি – বাংলাদেশ মানবধিকার এসােসিয়েশন এর চেয়ারম্যান , তিনি নারী অধিকার এবং সমাজে নারীদের মর্যাদা সম্পর্কে স্থানীয় পত্র / পত্রিকায় লিখে থাকেন , বিভিন্ন সময়ে তিনি টিভি / রেডিওতে নারী নির্যাতন এবং নারীদের অধিকার ও নারী সুরক্ষা সম্পর্কে আইনগত বক্তব্য রেখেছেন । তিনি আইন-আদালত প্রতিদিন পত্রিকার প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এছাড়াও তিনি Human Rights Commission Chittagong Division – 13 প্রাক্তন ডিবিশনাল Co – ordinator ছিলেন , তিনি চট্টগ্রাম জেলার Human Rights Commission এর প্রাক্তন সভাপতি , তিনি বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির ভাইস – প্রেসিডেন্ট , চট্টগ্রাম Red Crescent Society এর আজীবন সদস্য , তিনি – চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের আজীবন সদস্য , তিনি বাংলাদেশ মহিলা ইসলামী পাঠাগার এর সদস্য , Ladies Club এর সদস্য , চট্টগ্রাম Rose Garden এর পি.পি. তিনি ছাত্রী অবস্থা থেকেই আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত । বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ মহিলা । আওয়ামী লীগ কেন্দ্রিয় কমিটির কার্যকরী সদস্য , তিনি দক্ষিণ জেলা চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য , তিনি বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ চট্টগ্রাম এর সভাপতি , তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য এবং জাতীয় পেশাজীবী পরিষদ কেন্দ্রিয় কমিটির সহ – সভাপতি , এ ছাড়াও প্রফেসর এ্যাডভােকেট কামরুন নাহার বেগম একজন সফল মানবধিকার কর্মী হিসেবে ২০০০ সালে মানবধিকার । কমিশনের জাতীয় সম্মেলনে “ ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস ” পদকে ভূষিত হন , দুঃস্থ নারী ও মহিলাদের সহায়তা দানের স্বীকৃতি স্বরুপ যুক্তরাষ্ট্রের “ বায়ােলজিকেল ইনস্টিটিউট ” ২০০৩ সালে তাঁকে “ ওম্যান অফ দ্যা ইয়ার ” মনােনীত করে – ২০১০ সালে একজন সফল আইনজীবী হিসেবে “ সাহিত্যিক আবুল ফজল ফাউন্ডেশন ” কর্তৃক আয়ােজিত গুনিজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তাকে সম্মাননা প্রদান করা হয় । সুপ্রভাত রাউজান ট্রাস্ট ‘ – চট্টগ্রাম – কর্তৃক আয়ােজিত মানবাধিকার সম্মেলন ও বিজয় উৎসব – ২০১০ – এ গুনিজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সফল মানবাধিকার সংগঠক হিসেবে তাকে মানবধিকার দিবস ‘ – এ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করা হয় , মাসিক সুপ্রভাত রাউজান ও সাপ্তহিক শিরােনাম কর্তৃক আয়ােজিত অনুষ্ঠানে -২০১১ সালে মুক্তিযােদ্ধা সংগঠনে ও মানবধিকারে অবদান রাখার জন্য তাঁকে ‘ মুক্তিযােদ্ধা সংগঠন সম্মাননা -২০১১ ‘ প্রদান করা হয় । তিনি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ বিশেষ করে এশিয়া এবং ইউরােপ মহাদেশের ১৩ টি দেশ পরিভ্রমন করেছেন । পরবর্তীতে তিনি অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণ করেন । পরিভ্রমনকালে তিনি সেই সমস্ত দেশসমূহের শিক্ষা সংস্কৃতি , রাজনীতি , অর্থনীতি , আর্থ – সামাজিক অবস্থাও নানা বিষয়ে বাস্তব অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেন , তার এই অভিজ্ঞতা নিজ দেশের শিক্ষা সংস্কৃতি , মানবধিকার , নারী উন্নয়ন ও নানা বিষয়ে কাজে লাগানাের চেষ্টা করেন । এশিয়া এবং ইউরােপ মহাদেশের যেই সমস্ত দেশ তিনি ভ্রমন করেছেন — সেই গুলাের মধ্যে রয়েছে ভারত , সিঙ্গাপুর , থাইল্যান্ড , মালয়েশিয়া , সৌদি আরব , বেলজিয়াম নেদারল্যান্ডস , জার্মানী , ফ্রান্স , ইংল্যান্ড , লুক্সেমবার্গ , ইটালি , সুইজারল্যান্ডসহ পরবর্তীতে অস্ট্রেলিয়া মহাদেশ পরিভ্রমন করেছেন । সেই দেশ সমূহের রাজনীতি , অর্থনীতি , ধর্মীয় , শিক্ষা – সংস্কৃতি , ইতিহাস – ঐতিহ্য , এবং সামাজিক অবস্থা , সর্বোপরি সেই দেশ সমূহের আইন এবং বিচার ব্যবস্থা সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান আহরন এবং উল্লিখিত দেশ সমূহের ঐতিহাসিক নিদর্শন এবং দর্শনীয় স্থান সমূহ স্বচক্ষে অবলােকন করেন।